BENGALI POEMS
কবিতা | ধান্য বধু কবিতার কথাঃ
জীবন চলমান । চলমান পথে হাঁটতে হাঁটতে পেয়েছি যেমন সুখের ঠিকানা তেমনি দুঃখের যন্ত্রণাও আমাকে কম অভিজ্ঞ করেনি! সংসার সমুদ্রের গরলামৃত মিশে এই ধরনী আমার কাছে স্বর্গের উদ্যান এখানে আমার জন্ম সার্থক বলে মনে করি। তাই যা কিছু ভালো লাগা মন্দ লাগা তাকেই গল্প কবিতাকারে বিলিয়ে দিতে চাই সবার মাঝে। এই প্রয়াসেই আমি সাহিত্য রচনার সাধনায় ব্রতী হয়েছি। সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ-ই আমাকে জুগিয়েছে প্রেরণা। আমার এই দীন প্রচেষ্টায় যদি কোনো পরিবর্তনের বা ভুল অর্থের সংশোধনের প্রয়োজন হয়, তাহলে পাঠকগণ মন্তব্য করলে উপকৃত হব।
কবি পরিচিতি:
আমি বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে বাস করি
পেশা
আমি রায়গঞ্জ ইউনিভারসিটি কলেজের আংশিক বাঙলা বিভাগে শিক্ষকতা করেছি । বর্তমানে আমি একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাঙলা বিভাগের শিক্ষকতা করি।
ধান্য বধু
খুশী সরকার
ওই দেখো গো মাঠের রানী বধূ সেজেছে"
সীমন্তে সে হলুদ রঙের টিকলি পরেছে
মাঝে মাঝে ঘোমটা তুলে আড়চোখে দেখে
সবজে শাড়ির আঁচল তার অঙ্গখানি ঢাকে
প্রত্যূষে রূপার ভূষণ শিশির স্নিগ্ধ সোহাগ
রবির কিরণ মুচকি হাসি আদুরে আলাপ।
মেঠো পথের সঙ্গী যত আনমনা পথিক
ধান্য বধূর ডাগর রূপে অবাক, হত চকিত
কখনো বা মধ্যাহ্ন বায়ে পাক খেয়ে নাচে
কখনো মিষ্টি চোখে ডাকে ভালোবেসে।
রোদ্র-চুম্বনের উষ্ণতায় মাখা তার অঙ্গ
লাজে কম্পিত চরন, নাচে পরে ভঙ্গ।
মৌন মুগ্ধ নেত্র, বদন ভারী লাল
অন্তরে কেবলই বোনে ভালবাসার জাল
ক্রমে বয়ে যায় যৌবনের তিনমাস
নিঠুর মেঠো রাজা নেয় আপন বাস।
দিবা নিশি কেঁদে কেঁদে আছাড় খেয়ে পড়ে
একাকীত্বে বিষাদ হিয়ায় আঁখি জল ঝরে।
ধূসর লাবণ্যের বাখান কেবা শুনে বল,
যৌবনের পূর্ণতা পরশে সে ভুতলে পড়িল।
ভুমির প্রিয়া অবশেষে কাটায় পরবাস।
প্রিয়ের বিরহে আর বাঁচবে কী নয় মাস ?
দামিনী চকিতে দেখি গগনে বাদলের ছায়া
আশায় আশায় আষাঢ় ঐ নব বধূর মায়া।
সমাপ্ত
খুশী সরকার
ওই দেখো গো মাঠের রানী বধূ সেজেছে"
সীমন্তে সে হলুদ রঙের টিকলি পরেছে
মাঝে মাঝে ঘোমটা তুলে আড়চোখে দেখে
সবজে শাড়ির আঁচল তার অঙ্গখানি ঢাকে
প্রত্যূষে রূপার ভূষণ শিশির স্নিগ্ধ সোহাগ
রবির কিরণ মুচকি হাসি আদুরে আলাপ।
মেঠো পথের সঙ্গী যত আনমনা পথিক
ধান্য বধূর ডাগর রূপে অবাক, হত চকিত
কখনো বা মধ্যাহ্ন বায়ে পাক খেয়ে নাচে
কখনো মিষ্টি চোখে ডাকে ভালোবেসে।
রোদ্র-চুম্বনের উষ্ণতায় মাখা তার অঙ্গ
লাজে কম্পিত চরন, নাচে পরে ভঙ্গ।
মৌন মুগ্ধ নেত্র, বদন ভারী লাল
অন্তরে কেবলই বোনে ভালবাসার জাল
ক্রমে বয়ে যায় যৌবনের তিনমাস
নিঠুর মেঠো রাজা নেয় আপন বাস।
দিবা নিশি কেঁদে কেঁদে আছাড় খেয়ে পড়ে
একাকীত্বে বিষাদ হিয়ায় আঁখি জল ঝরে।
ধূসর লাবণ্যের বাখান কেবা শুনে বল,
যৌবনের পূর্ণতা পরশে সে ভুতলে পড়িল।
ভুমির প্রিয়া অবশেষে কাটায় পরবাস।
প্রিয়ের বিরহে আর বাঁচবে কী নয় মাস ?
দামিনী চকিতে দেখি গগনে বাদলের ছায়া
আশায় আশায় আষাঢ় ঐ নব বধূর মায়া।
সমাপ্ত
Post A Comment: